আজকে আমরা পড়বো “তুমি জীবনকে সার্থক-সুন্দর করিতে চাও?” সারাংশটি। সারাংশ পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই সারাংশটি তোমাদের ভালোভাবে পড়তে হবে।
তুমি জীবনকে সার্থক-সুন্দর করিতে চাও?
তুমি জীবনকে সার্থক-সুন্দর করিতে চাও? ভালো কথা। কিন্তু সেজন্য প্রাণান্ত পরিশ্রম করিতে হইবে। সব তুচ্ছ করিয়া যদি তুমি লক্ষ্যের দিকে ক্রমাগত অগ্রসর হইতে পার, তবে তোমার জীবন সুন্দর হইবে। আরও আছে। তোমার ভিতর এক ‘আমি’ আছে যে বড় দুরন্ত। তাহার স্বভাব পশুর মতো বর্বর ও উচ্ছৃঙ্খল। সে কেবল ভোগবিলাস চায়। সে বড় লোভী। এই ‘আমি’-কে জয় করিতে হইবে। তবেই তোমার জীবন সার্থক ও সুন্দর হইয়া উঠিবে।
সারাংশ: মানুষের জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করে তুলতে পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। মানুষের ভেতর পশুত্ব আছে। এ পশুত্বকে বলি দিতে হবে। আমিকে জয় করতে পারলে মানুষ জীবনে সার্থকতা অর্জন করতে পারবে।
সারাংশ বিকল্প ১: জীবনকে সার্থক ও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হলে অনেক সাধনা, পরিশ্রম ও একাগ্রতার প্রয়ােজন। মানুষের অভ্যন্তরে বিরাজমান বিলাসপ্রবণ উদ্ধৃঙ্খল সত্তাকে জয় করেই মানুষ তার প্রত্যাশিত সুন্দর জীবন লাভ করতে পারে।
সারাংশ বিকল্প ২: পরিশ্রম ও সাধনার বলে লোভ ও স্বার্থপরতাকে জয় করে মানুষের জীবন সার্থক ও সুন্দর হয়ে ওঠে। ভোগ বিলাসকে পরিত্যাগ করে আত্মাকে জয় করার মধ্যেই জীবনের সার্থকতা নিহিত।
সারাংশ বিকল্প ৩: কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করে তোলা যায়। জীবনে সার্থকতা অর্জনের জন্য মানুষকে যেমন পরিশ্রমমী হতে হয় তেমনি তাকে হতে হয় সংযমী, ধৈর্য্যশীল এবং একাগ্রচিত্ত।
আশা করি তোমাদের সারাংশটি বোধগম্য হয়েছে। যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে এই পোস্ট এর নিচে কমেন্ট করো।